শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনার টিকা গ্রহণ করার সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।আজ (শুক্রবার, ২৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর মুগদা হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে এ কথা জানান তিনি।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই এর বাস্তবায়ন শুরু করব।স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, গ্রাম পর্যায়ে টিকা প্রয়োগ নিয়ে ভাবা হচ্ছে। গ্রামের মানুষদের অন্যান্য টিকা যেভাবে দেওয়া হয়, সেভাবেই করোনা টিকা দেওয়া যায় কি না এ বিষয়ে সরকার পরিকল্পনা করছে। যদি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়, তাহলে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং টিকা কার্ড দেখেই টিকা নিতে সম্ভব হবে, নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না।খুরশীদ আলম বলেন, হাসপাতালে ভর্তি অনেক রোগী টিকা নিতে চাইছেন না। এমনকি অনেক নার্স ও স্বাস্থ্যসেবী এখনো টিকা নেননি। এটা খুবই দুঃখজনক। যারা টিকা নিয়েছেন তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি কম।১৪ দিনের লকডাউনের ফলের বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো তেমন ফল আমরা দেখছি না। সাধারণত ৩-৪ দিন পর এর ফল দেখা যায়। তবে সীমান্ত এলাকায় আগের তুলনায় সংক্রমণ কমেছে। ভারত থেকে অক্সিজেন আনার ব্যবস্থা হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, করোনা রোগীর চাপ সামাল দিতে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। এসময় ঢাকার বাইরের রোগীদের জন্য বিভিন্ন জেলায় ফিল্ড হাসপাতাল করার পরামর্শও দেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক।উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, টিকা দেওয়ার বয়স ১৮-তে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মূলত শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের দেড় বছর লোকসান হয়েছে। ভবিষ্যতে এটি দেশের জন্য অকল্পনীয় ক্ষতি হবে। সেই সংকট যেন না হয় সেজন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।প্রথমে করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণের বয়সসীমা ছিল ন্যূনতম ৪০ বছর। গত ৭ জুলাই নতুন করে নিবন্ধন শুরুর সময় তা কমিয়ে ৩৫ বছর করা হয়। অর্থাৎ যাদের বয়স ৩৫ বছর বা তার বেশি, কেবল তারাই সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েবসাইটে গিয়ে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারতেন। পরে আবার সেটা কমিয়ে ৩০ বছর করা হয়। চলতি বাস্তবতায় সেই বয়সসীমা ১৮ তে আনার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সরকার।গত এক বছরের বেশি সময়ে দেশে করোনাভাইরাসে ১৮ হাজার ৬৮৫ জন মানুষ মারা গেছেন।